২৪খবরবিডি: 'বন্ধ ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে জমা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। এখন কমিশন বৈঠকে প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
'রোববার (৩০ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। ইসি মো. আলমগীর বলেন, গাইবান্ধা ভোটের প্রতিবেদন আজ সিইসির কাছে দিয়েছেন ইসি সচিব। আমরা এখনো দেখিনি। সবাই বসে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। রিপোর্ট পড়ার পরই বিস্তারিত বুঝতে পারব। আমরা তো তদন্তের সময় ছিলাম না। তাই এটা নিয়ে সভা করার পর আমরা সিদ্ধান্ত জানাব। এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, তদন্তের ভিত্তিতে অনিয়মে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। এমনকি বরখাস্ত করার কথাও তুলেছিলেন তিনি। এই নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, কমিশন অনিয়মকারীকে বরখাস্ত করার ক্ষমতাও রাখে। গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনের সবগুলো ভোটকেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকার নির্বাচন ভবনে বসে মনিটরিং করে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। ভোটে অনিয়ম ধরা পড়লে ভোটগ্রহণ শুরুর চার ঘণ্টার মাথায় ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫১টি ভোটকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ভোটের দেড় ঘণ্টা বাকি থাকতেই এই নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করে কমিশন। এরপর ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথকে প্রধান করে আরও দুই যুগ্ম সচিবকে নিয়ে গঠিত ওই কমিটি ৬৮৫ জনের শুনানি করে গত ১৮ থেকে ২০ অক্টোবর। এরপর কমিটি ইসি সচিবের কাছে গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) প্রতিবেদন জমা দেয়। গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। উপ-নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি ভোটকক্ষ স্থাপন করা হয়েছিল।'
'সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছেন তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ এবং নারী ভোটার এক লাখ ৭০ হাজার ১৬০। অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া টানা ৯ মাস ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই শেষে গত ২২ জুলাই দিবাগত রাত ২টায়
বন্ধ ঘোষিত গাইবান্ধা ভোট : তদন্ত প্রতিবেদন সিইসির কাছে জমা দিয়েছেন সচিব
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ কারণে তার আসনটি সংসদ সচিবালয় শূন্য ঘোষণা করলে নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। সংবিধান অনুযায়ী ২০ অক্টোবরের মধ্যে এই উপ-নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা ছিল। তবে সংবিধান প্রদত্ত দৈব-দুর্বিপাকজনিত কারণের ক্ষমতা প্রয়োগ করে আরও ৯০ দিন সময় নেন সিইসি।'